শহীদ সাব্বির আহমদ

৩০ নভেম্বর -০০০১ - ১১ মার্চ ১৯৮২ | ১

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

সব ধরনের জুলুম ও নিপীড়ন থেকে মানুষের মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করে চলছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। শত বাধার প্রাচীর ডিঙিয়ে যারা নিরলস নিত্যদিন কাজ করে চলছে, যারা এগিয়ে চলছে আন্দোলন-সংগ্রামে, অত্যাচার-নির্যাতন, জেল-জুলুম ও জীবনদান যাদের নিত্যসঙ্গী, অপরিসীম ত্যাগ আর কুরবানির বিনিময়ে যারা কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে নিত্যদিন; তাদেরই একজন শহীদ সাব্বির আহমদ।


ব্যক্তিগত পরিচয়
মো. সাব্বির আহমদ। সোনালী ব্যাংকের সাবেক নাইট গার্ড মো. জামিল খানের ছয় সন্তানের মধ্যে সবার বড় ছিলেন শহীদ সাব্বির আহমদ। রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার অন্তর্গত উপশহরে আবাসিক এলাকায় তাদের বাড়িটি ছিল এ/২২ নম্বর। পুরাতন ধরনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিমছাম বাড়িতে বসবাসরত পরিবারে সাব্বির ছিলেন তখন ১৮ বছরের পরিশ্রমী আর প্রাণবন্ত তরুণ।


শিক্ষাজীবন
পরিবারের দারিদ্র্যের মধ্যেও যেহেতু তিনি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছবার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন, সুতরাং অর্থকড়ির যোগান দিতে কলমের কালি তৈরির প্রকল্পসহ প্রসাধনী দ্রব্যের ব্যবসা করতেন। নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই বহন করতেন শহীদ সাব্বির। দৈনিক সর্বোচ্চ দু’তিন ঘণ্টা সময় পেতেন পড়াশোনার জন্য। তারপরও কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৯৭৯ সালে।


সাংগঠনিক জীবন
আল্লাহর ঘোষণা, “জান্নাতের বিনিময়ে আল্লাহ মুমিনদের জান ও মালকে খরিদ করে নিয়েছেন।” (সূরা তাওবা : ১১১) এই ঘোষণা নতমস্তকে মেনে নিয়ে আল্লাহর পথে নিজের জান ও সম্পদকে বিকিয়ে দেয়ার চূড়ান্ত শপথ নেয়ার জন্য ছাত্রশিবিরের পতাকাতলে আসেন সাব্বির আহমদ। ইসলামী ছাত্র-আন্দোলনে যোগ দেয়ার সাথে সাথে তিনি নিজেকে গড়ে তোলেন আদর্শবান ছাত্র হিসেবে, এবং দাওয়াতি কাজে নিজেকে সক্রিয় করেন। নিজের মেধা, মননশীলতা, সচ্চরিত্র অবলম্বন করে প্রাণপ্রিয় সংগঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের দৃঢ়সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। পর্যায়ক্রমে সংগঠনের কর্মী, সাথী অতঃপর সদস্যপ্রার্থীর স্তরে উন্নীত করেন নিজেকে। মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাঁকে সদস্য হিসাবে চূড়ান্ত শপথ গ্রহণ করতে দেয়নি। উপশহর এলাকার দায়িত্বশীল থাকার সময় এলাকার শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবার মাঝে অত্যন্ত মিষ্টভাষী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছিলেন তিনি।


যেভাবে শহীদ হন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অনেক শাহাদাতের সাক্ষী হয়ে আছে। মতিহার চত্বরে ইসলামী ছাত্র-আন্দোলনে প্রাণ ও সহায়-সম্পত্তির নজরানা পেশ করেছেন অনেক শহীদ। ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এই কাফেলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ বাংলাদেশে ইসলামী ছাত্র-আন্দোলনের ইতিহাসে প্রথম শহীদ হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন শহীদ সাব্বির আহমদ, মতিহার চত্বরে। হামযা, জাফর, যায়েদ, রাওয়াহা (রা) যে মিছিল শুরু করেছিলেন বাংলাদেশে সেই শহীদি মিছিলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুই শতাধিক শহীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শহীদ সাব্বির আহমদ।


১১ মার্চ, ১৯৮২। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। আগের দিন ১০ মার্চ, বুধবার। সেদিন থেকেই মূলত শিবিরের এই কর্মসূচিকে বানচালের একটি হীন ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে উদীয়মান শক্তি হিসেবে শিবিরকে সহ্য করতে পারল না বাতিলপন্থীরা। ১১ তারিখের অনুষ্ঠানের প্রচারের কাজে ব্যস্ত শিবিরকর্মীদের ওপর হঠাৎ করে চড়াও হলো ছাত্র ইউনিয়নের একদল দুষ্কৃতকারী। শিবিরকর্মীদের হাত থেকে প্রচারপত্র কেড়ে নিলো। প্রচারকার্য বন্ধ করার জন্য বল প্রয়োগ করতে লাগলো। কিন্তু ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে পরিস্থিতির মোকাবেলা করলেন শিবিরকর্মীরা। এতে আহতও হলেন কয়েকজন।


১১ মার্চ সকাল থেকেই নবাগত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি চলছিল। প্রশাসনিক ভবনের পশ্চিম চত্বরে নবাগতদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর মিলনস্থল। অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসে শহর-গ্রাম থেকে আবাল-বৃদ্ধ-যুবক সবাই। হাজার হাজার জনতার এই মিলনস্থলে সমবেত হয়ে নিজেকে ধন্য করতে এসেছিলেন শহীদ সাব্বির আহমদ। অনুষ্ঠানস্থলের অদূরে শহীদ মিনারে শিবিরের কর্মসূচির সাথে একই সময়ে একটি সাংঘর্ষিক কর্মসূচির আয়োজন করেছিল দুষ্কৃতকারীরা। তারা লাঠি, রামদা, বল্লম, হকিস্টিক ও রড নিয়ে জমায়েত হয়েছিলো। কেবল শিবিরের প্রোগ্রাম বানচালের জন্যই এ কর্মসূিচ। পূর্বপরিকল্পিতভাবে তথাকথিত ছাত্র পরিষদের ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করেছিল ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ (ফ-চু), ছাত্রলীগ (মু-হা) বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নসহ অন্যরা। ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে তারা ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বারবার গোলযোগ বাধাতে চেষ্টা করে। প্রতিবারই শিবিরকর্মীরা তাদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন। এরমধ্যে বাইরে থেকে তারা কয়েকটি বাস বোঝাই করে পাঁচ-ছয়শত সশস্ত্র সন্ত্রাসী এনে শিবিরকর্মীদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তাদের হাতে ছিল রামদা, ভোজালি, ছোরা, বল্লম, হকিস্টিক ও লোহার রড। হিংস্র হায়েনার মত তারা শিবিরকর্মীদের ওপর অতর্কিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে।


এসময় শহীদ সাব্বির আহমদকে বহনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে পৌঁছে। তিনি গাড়ি থেকে নামা মাত্রই ছাত্র ইউনিয়নের সশস্ত্র ক্যাডাররা তাঁকে দেখে ফেলে। মুহূর্তের মধ্যেই ছুরি, বল্লম, রামদা, ভোজালির আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করে সাব্বির আহমদের পুরো শরীর। একই সাথে অন্যান্য শিবিরকর্মীদের ওপর বৃষ্টির মতো ইট ছুড়তে শুরু করে তারা। আত্মরক্ষার জন্য শিবিরকর্মীরা এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। কিন্তু পৈশাচিক উন্মত্ততায় মেতে ওঠা নরঘাতকরা নিরস্ত না হয়ে কর্মীদের পিছু ধাওয়া করে নির্দয়ভাবে মারতে থাকে। অনেক শিবিরকর্মী আত্মরক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) অফিসে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ঘাতকদের সেখানে ঢুকতে সাহায্য করেন। বন্ধ ঘরের মধ্যে নিরস্ত্র কর্মীদের বেধড়ক পেটানো ও ছুরিকাঘাত করা হয়। একটি ইটের ওপর রেখে আর একটি ইট দিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হয় শিবিরকর্মীর মাথা। পৈশাচিক বর্বরতার শিকার শিবিরকর্মীদের রক্তে বিএনসিসি ক্যান্টিনের মেঝে, চেয়ার, টেবিল, দেয়াল সব কিছু লালে লাল হয়ে যায়। ঘটনার কয়েকদিন পরও সেখানে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ শিবিরকর্মীদের ত্যাগের মহিমাকে জানান দিচ্ছিলো।

এতবড় একটি ঘটনা ঘটলো, অর্ধশতাধিক শিবিরকর্মী আহত হলো কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলো তারপরও। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় কাছাকাছি থেকেও পুলিশ সেদিন দর্শকের ভূমিকায় ছিলো। সকাল ১১টায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সাব্বির আহমদকে। শহরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এ পৈশাচিক বর্বরতার খবর। বিষাদের ছায়া নেমে এলো রাজশাহীবাসীর মধ্যে। দলে দলে ছাত্র, শুভানুধ্যায়ী, সাধারণ মানুষ হাসপাতালের দিকে ছুটে চললেন। সকাল সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে কান্নার রোল উঠলো।


সবাইকে খুশি করে, আজানের ধ্বনিতে ধ্বনিত হয়ে কোনো এক শুভক্ষণে জন্ম নেয়া সাব্বির আজ আর্তনাদ আর কান্নার মৃদু হাহাকারে চিরবিদায় নিয়েছেন। খবর পেয়ে পিতা ছুটে আসেন আহত ছেলেকে দেখতে। কিন্তু এসে নিজের চোখে যা দেখলেন তিনি, তা সইতে পারলেন না। তাঁর দুচোখ বেয়ে নামলো অশ্রুধারা। স্নেহের বড় ছেলে তাঁর শহীদ হয়েছেন। আর কোনোদিন ছেলে তাঁকে ‘আব্বা’ বলে ডাক দেবে না মা শুনবে না ‘মা’ ডাক। ছোট ভাই-বোনেরা পাবে না স্নেহ আর ভালোবাসা। সহকর্মীরা পাবে না তার সাহচর্য।

শহীদ সাব্বির যেমন নিজে হয়েছেন ধন্য শাহাদাত বরণ করে, তেমনি এই জমিনের জন্য রেখে গেছেন এক অনুকরণীয় নজির। সূর্য উদিত হয় প্রতিদিনের ন্যায়, কোনো কোনো দিন এমনও আছে রৌদ্রোজ্জ্বল সকাল আর রৌদ্র তাপদগ্ধ দুপুরের পর দিনের শেষে বিকেল এসে সৃষ্টি হয় অমাবস্যার রাত। কিন্তু অমাবস্যার ঘন কালো রাতও পোহায়। অতঃপর দিনের আলোয় চারদিক আবার আলোকিত হয়। কোনো কোনো জীবনও এরকম দিন আর রাত্রির মত। স্বীয় প্রতিভাগুণে গুণান্বিত এসব মানুষ অনুরাগীদের আকৃষ্ট করেন, হয়ে ওঠেন আলোচনার বিষয়বস্তু, স্বীকৃত হয় তাঁদের প্রতিভা। রক্তের স্রোতধারার উৎস শহীদ সাব্বিরের আত্মা শান্তি পাবে একটি সফল ইসলামী বিপ্লব সাধনের মধ্য দিয়ে, যখন দুনিয়ার মানুষ আল্লাহর আইন কানুনের পাবন্দ করবে। তাই ধুয়ে যাক সকল কালিমা, সফল হোক শহীদ সাব্বিরের রক্ত।


জানাজা ও দাফন
শহীদের গর্বিত পিতা মো: জামিল খান নিজেই পুত্রের জানাজা নামাজের ইমামতি করেন। হাত ওঠান আল্লাহর দরবারে। শহীদ পুত্রের কবুলিয়াতের এবং আহত কর্মীদের সুস্থতার জন্য দোয়া করলেন দুই চোখের পানি ছেড়ে। পরে নগরীর টিকাপাড়া গোরস্থানে চিরদিনের জন্য তাঁকে দাফন করা হয়।

পিতার অনুভূতি
অশ্রুসিক্ত পিতা মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে বলেছিলেন, “হে আল্লাহ, এমন ছেলের পিতা হওয়ার গৌরবে আমি তোমার দরবারে শোকর আদায় করছি। আমার ছেলের শাহাদাত কবুল করে নাও।”


অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়
কৈশোরে আল্লাহর রাসূল (সা) যেমন সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ‘হিলফুল ফুজুল’ নামক ক্লাব গঠন করে সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন, সেই রাসূলের (সা) আদর্শের অনুসারী শহীদ সাব্বিরও উপশহরের সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে সুপ্রতিষ্ঠিত ‘অনুসন্ধান’ ক্লাবের সদস্য হয়ে সমাজসেবায় ভূমিকা রাখেন। সদা চঞ্চল ও পরিপাটি কিশোর শহীদ শুধু আদর্শবান ছাত্র নয়, একজন খেলোয়াড় ও সংগঠক হিসাবেও অনেক পুরস্কার অর্জন করেন।

সমাজের কারো সাথে কোনো বিষয় নিয়ে সামান্যতম কোনো কথা কাটাকাটি করেননি তিনি। তবে সত্য প্রতিষ্ঠার সৈনিক হিসেবে ন্যায়ের উচ্চারণে অত্যন্ত দৃঢ় ছিলেন। শহীদ সাব্বির অন্যের উপকার করার জন্য অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন, অন্যের সেবা করে আনন্দ পেতেন তিনি। আড়ম্বরহীন জীবনযাপন করতেই পছন্দ করতেন শহীদ।


শহীদ সাব্বির নিজের যা কিছু ছিলো অর্থকড়ি-সহায় সম্পত্তি; সবকিছু কাজে লাগিয়ে দ্বীনের দাওয়াতে ব্যস্ত ছিলেন আজীবন। বায়তুলমাল থেকে খরচ করার মত খাত থাকা সত্ত্বেও শুধু বায়তুলমালের কঠোর হিসাব দিতে হবে আল্লাহর কাছে সেই অনুভূতি থেকে খরচ করেননি। নেতৃত্বের আনুগত্যে তিনি আন্তরিক ছিলেন। জীবনের শেষ দিনটিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে বলা হয়েছিল যে সকাল ন’টা চল্লিশের গাড়িতে ক্যাম্পাসে যেতে হবে। বাড়ির সব জরুরি কাজ শেষ করে খেতে বসে দেখলেন মা এখনো রুটি ভাজা শেষ করতে পারেননি। তাড়াহুড়ো করে চুলোর ওপর থেকে দুটো রুটি খেয়ে ক্যাম্পাসে রওনা দেন। সাব্বির জানতেন না এটাই আল্লাহর তরফ থেকে দুনিয়ার সর্বশেষ রিজিক। শহীদ সাব্বির দ্বীনের দাওয়াতি কাজসহ অন্যান্য কাজ আঞ্জাম দিয়ে যেটুকু অবসর পেতেন তা কুরআন তিলাওয়াত আর জিকির করে কাটাতেন। যারা আল্লাহর দাসত্ব কবুল করেছে তারা জিকিরের মধ্য দিয়েই তাদের সময় কাটান।

 

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ সাব্বির আহমদ

পিতা

মোঃ জামিল খান

জন্ম তারিখ

নভেম্বর ৩০, -০০০১

ভাই বোন

৬ জন

স্থায়ী ঠিকানা

রাজশাহী উপশহর

সাংগঠনিক মান

সদস্য প্রার্থী

সর্বশেষ পড়ালেখা

রাজশাহী কলেজ

শাহাদাতের স্থান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়


শহীদ শাব্বির আহম্মদ

ছবি অ্যালবাম: শহীদ শাব্বির আহম্মদ


শহীদ শাব্বির আহম্মদ

ছবি অ্যালবাম: শহীদ শাব্বির আহম্মদ