রবিবার, ০৪ অক্টোবর ২০১৫

গাইবান্ধায় সরকার দলীয় এমপি কর্তৃক স্কুল ছাত্রকে গুলির প্রতিবাদ ও অবিলম্বে অভিযুক্তকে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে বিবৃতি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সরকার দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন কর্তৃক সৌরভ (১০) নামের স্কুল ছাত্রকে নির্মম ভাবে গুলি করার প্রতিবাদ ও অবিলম্বে অভিযুক্তকে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, দেশব্যাপী একের পর এক বর্বরতার নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করে চলেছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। গত ১ অক্টোবর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সরকার দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন বিনা অপরাধে সৌরভ নামের ১০ বছর বয়সি এক স্কুল ছাত্রের পায়ে নির্মম ভাবে গুলি চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেছে। এমনকি হাসপাতালে নেয়ার পথে আহত শিশুটির গাড়ি পর্যন্ত আটকে রাখে তার ক্যাডাররা। জনপ্রতিনিধি নামের কলঙ্ক এই আওয়ামী নেতা অযথা একটি নিষ্পাপ শিশুর জীবন অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। একটি শিশুর পায়ে গুলি চালিয়ে জাতির কপালে আরেকটি কলঙ্ক তিলক লাগিয়েছে সরকারের এই এমপি। এই বর্বরতার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। শুধু এবারই নয় এর আগেও সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মাতাল অবস্থায় রাত বিরাতে গুলি চালিয়ে, মাতলামি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছে সে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। এই ঘটনায় জাতি ধিক্কার দিলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সরকার।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এবারই প্রথম নয়। এর আগেও রংপুরে অভ্যন্তরীন কোন্দলের সময় রংপুরে এক শিশুকে হত্যা করেছিল ছাত্রলীগ। সম্প্রতি যুবলীগের গুলিতে মায়ের পেটে থাকা শিশু পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। অথচ কোনটিরই দৃষ্টান্তমূলক কোন শাস্তি হয়নি। এই বিচারহীনতাই বার বার এমন জঘন্য ঘটনার জন্য দায়ী বলে দেশবাসী মনে করে। বার বার এমন বর্বরতা মেনে নেয়া যায়না।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে অভিযুক্ত এমপিকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, তার এমপি পদ বাতিল এবং আহত শিশুটির উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থার জোর দাবী জানান।

সংশ্লিষ্ট