শুক্রবার, ০৭ আগস্ট ২০১৫

অব্যাহত শিশু হত্যা ও নির্যাতনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

রাজধানীসহ সারাদেশে অব্যাহত শিশু হত্যা ও নির্যাতনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, সারাদেশে বার বার নৃশংস ভাবে শিশু হত্যা ও পাশবিক নির্যাতনে মানুষ শিউরে উঠছে। এ অমানবিকতার অব্যাহত থাকায় জাতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগে সিলেটে রাজন নামের এক শিশুকে চুরির অভিযোগে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার পরের দিনই বরিশালে দুই অসহায় শিশুর উপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়েছে। সম্প্রতি খুলনায় চাকরী ছেড়ে দেয়ার অপরাধে রাকিব নামের এক শিশুকে পেটে হাওয়া ঢুকিয়ে পৈচাশিক কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। গত ২ আগস্ট নাটোরে শাকিল কাজী নামে এক শিশুকে চুরির সন্দেহে গাছের সাথে বেধে পিটিয়ে গুরুতরভাবে আহত করা হয়েছে। একই দিন মীরপুর ও হাজারীবাগে দুটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মাগুরায় মায়ের গর্ভের শিশু সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের বুলেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। গত ৩রা আগস্ট দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে পরিত্যক্ত লাগেজের ভিতর থেকে ৯ বছর বয়সের শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব নৃশংসতার অনেক দৃশ্য বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখে মানুষ আতকে উঠছে। এভাবে একের পর এক মায়ের বুক খালি হচ্ছে। এ এক ভয়ানক অমানবিক পরিস্থিতি। এসব ঘটনা আইয়্যামের জাহিলিয়াতের যুগকেও হার মানাচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শিশুদেরকে মানুষরুপী হায়েনার দল যেভাবে নৃশংস পন্থায় হত্যা করছে তাতে গোটা জাতি উদ্বিগ্ন, লজ্জিত ও আতঙ্কগ্রস্ত এবং ক্ষুব্ধ। লজ্জায় বিশ্ব দরবারে আমাদের মাথা নত হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউনিসেফসহ বিভিন্ন সংস্থা এসব ঘটনায় উদ্ধেগ প্রকাশ করেছে। অথচ এই পাশবিকতা বন্ধে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ জাতি দেখেনি। যথাযথ আইনী পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে না। সরকারের এই নিষ্ঠুর নিরবতার পেছনে ‘এ সমস্ত নৃশংস ঘটনার সাথে বহুলাংশে সরকার দলীয় লোকজনই জড়িত’ এই কারণ লুকিয়ে আছে কি না জনগণ জানতে চায়।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জাতি হিসেবে আমরা এর দায় এড়াতে পারি না। এ ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার সংস্থা ও পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতিবাদী, সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারের উচিৎ আইনÑশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার রুপে ব্যবহার বাদ দিয়ে মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা। অন্যথায় বার বার নৃশংসতায় সরকারের অব্যাহত নিরবতা জনগণ মেনে নিবেনা।

সংশ্লিষ্ট