শুক্রবার, ০৭ আগস্ট ২০১৫

সারাদেশে নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

খুলনাসহ সারাদেশে নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার ও হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, ছাত্রদের পড়াশোনা ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে সরকার অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে। একের পর এক গ্রেপ্তার করছে নিরাপরাধ নেতাকর্মীদের। আজ দুপুরে খুলনার একটি মাদ্রাসায় ছাত্রদের নবীনবরণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে কোন কারণ ছাড়াই ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরী সভাপতি মিম মিরাজ, ছাত্র ও তাদের অভিভাবক, শিক্ষকসহ প্রায় ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কুড়িগ্রামে কোর্টে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে আহত করেছে জেলা সভাপতিকে। পুলিশ হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো শিবির সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি বর্তমানে পুলিশের প্রহরায় চিকিৎসাধিন আছেন। লালমনিরহাটে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে খুলনা মহানগরী শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদককে বাসায় না পেয়ে তার বৃদ্ধ মা ও বাবাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আবারো অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি বিনা অপরাধে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানী করা হয়েছে। গ্রেপ্তার নির্যাতন করে সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকারের এই অমানবিক আচরণ তাদের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ ছাড়া কিছু নয়। এসব অগণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার লংঘনকারী আচরণ সরকারে জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না। অবিলম্বে নেতৃবৃন্দসহ নিরাপরাধ ছাত্র, তাদের অভিভাবক, সম্মানিত শিক্ষক, শিবির নেতার বৃদ্ধ মা-বাবাকে মুক্তি দিতে হবে। গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় বিনা কারণে এমন উস্কানিমূলক আচরণ অব্যাহত রাখলে ছাত্রজনতা প্রতিরোধের পথে হাটতে বাধ্য হবে। আর তখন যে কোন পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি ও ভবিষ্যতে এমন অন্যায় গ্রেপ্তার থেকে বিরত থাকতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

সংশ্লিষ্ট