বৃহস্পতিবার, ০৬ আগস্ট ২০১৫

প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁস রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি।

প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁস রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় একের পর এক অনিয়ম ও দূর্নীতিকে মদদ দিয়ে আগামী প্রজন্মের শিক্ষা জীবনকে এক গভীর অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে অদূরদর্শী সরকার। সম্প্রতি আশঙ্কাজনক হারে সরকারী ও দলীয় লোকজন কর্তৃক বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস জাতিকে হতাশ করে তুলেছে। তার উপর এ অপকর্ম রোধে সরকারের রহস্যময় নিষ্ক্রিয়তায় জনগণ আরও শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। গত ৪ বছরে শুধু পাবলিক পরীক্ষায় ৬৩ বার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। তাছাড়া ২০১৩ ও ২০১৪ সালে পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষার সব বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বহুবার। প্রশ্ন তৈরী, ছাপানো ও বিতরণের ১৯টি পর্যায়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঝুকি রয়েছে। আর প্রশ্নপত্র ফাঁসে নাটের গুরু হচ্ছেন সরকারী কর্মকর্তা ও দলীয় লোকজন। যা টিআইবি’সহ বিভিন্ন সংস্থার গবেষনায় উঠে এসেছে এবং গণমাধ্যমে তা তথ্য প্রমাণসহ প্রচার হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। উল্টো সরকারের পক্ষ হতে এসব গবেষনামূলক তথ্যকে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই নিকৃষ্ট ঘটনার পূণরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা ইতিপূর্বে দাবী জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু সরকার তাকে কর্ণপাত করেনি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত এমন জাতি-বিনাশী তৎপরতায় সরকারের অস্বাভাবিক নিরবতা জাতিকে বিক্ষুদ্ধ করে তুলছে। এই অনৈতিক অবস্থানকে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ মনে করছে দেশবাসী। কিন্তু মুষ্টিমেয় সরকারী ও দলীয় লোকের অনৈতিক স্বার্থের কাছে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ বিকিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র বরদাশত করবে না ছাত্রজনতা। অবিলম্বে প্রশ্নফাঁসে জড়িত অসৎ কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রশ্নপত্র তৈরী, ছাপানো ও বিতরণের প্রতিটি ধাপকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার আওতায় আনতে হবে। এমন ঘটনার পূণরাবৃত্তি রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রশাসনের মনে রাখা উচিৎ, তাদের দায়িত্ব অবহেলায় আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট হলে জনগণ ছাড় দিবেনা। তার সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট