মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০১৫

নৃশংসতা বন্ধ না হলে উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে

নীলফামারী ডিমলা উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি অপিয়ার রহমানের উপর আ.লীগ সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, সরকারী মদদে আ.লীগ সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক নৃশংসতায় দেশ বার বার রক্তাক্ত হচ্ছে। সোমবার দুপুরে ডিমলা উপজেলার ঠুঠারডাঙ্গা বাজারে সেলুনে চুল কাটতে গেলে বিনা উস্কানিতে স্থানীয় আ.লীগ সন্ত্রাসী মাসুদ, চরু মামুদ ও ফারুকের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালিয়ে নৃশংস ভাবে তার দুই পা ও হাতের রগ এবং একটি কান কেটে ফেলে। পরে সন্ত্রাসীরা তাকে মূমর্ষ অবস্থায় পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশও সন্ত্রাসীদের আটক না করে উল্টো তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন তার উন্নত চিকিৎসা করতে না দিয়ে পুলিশ সন্ত্রাসীদের মতই আচরণ করছে। মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সন্ত্রাসীদের রক্ষা ও গুরুতর আহত শিবির নেতাকে গ্রেপ্তার করে কাপুরুষতার পরিচয় দিয়েছে। পুলিশের এমন দায়িত্বহীন আচরণ আ.লীগ সন্ত্রাসীদের বর্বরতাকে সরাসরি উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ হুশিয়ার করে বলেন, আ.লীগ সন্ত্রাসী ও পুলিশের দায়িত্বহীনতার কাছে শিবির নেতাকর্মীদের জীবন লিজ দেয়া হয়নি। আ.লীগ, ছাত্রলীগের ধারাবাহিক বর্বরতা ছাত্রশিবির ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করে আসছে। কিন্তু আমাদের এ ধৈর্যকে যদি সন্ত্রাসী বা প্রশাসন দূর্বলতা মনে করে তাহলে ভুল করবে। অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। মূমুর্ষ শিবির নেতার উন্নত চিকিৎসা সুযোগ ও মু্ক্তি দিতে হবে। অন্যথায় ছাত্রসমাজের হাত দূর্বল নয়। পুলিশের কোন গাফেলতিতে শিবির নেতা অপিয়ার রহমানের কোন ক্ষতি হলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে সাথে পুলিশও দায় এড়াতে পারবে না। এমন বর্বরতা ও মদদ চলতে থাকলে ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে আ.লীগ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। আর তখন যে কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার সরকার ও দায়িত্বহীন পুলিশকেই নিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত আ.লীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে এবং আহত শিবির নেতার সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও তাকে মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

সংশ্লিষ্ট