সোমবার, ১৩ জুলাই ২০১৫

নৈতিক মূল্যবোধ গঠনে ইসলামী আদর্শ অনুসরণ ও প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, দেশে অনৈতিকতার জোয়ারে ভয়ঙ্কর অপরাধ প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এটা সর্বনাশা অশুভ লক্ষণ। এ অবস্থার পরিবর্তনে নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর নৈতিক মূল্যবোধ গঠনে ইসলামী আদর্শ অনুসরণ ও প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির আয়োজিত সদস্য প্রার্থী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাতের পরিচালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় এইচআরডি সম্পাদক মশরুর হোসাইন, কার্যকরী পরিষদ সদস্য আল আমিন।

সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের প্রধান কারণ নৈতিকতাকে বিসর্জন। দিনে দিনে এর পরিধি বাড়ছেই। প্রতিদিনই দেশের মানুষকে অনৈতিকতার ভয়ঙ্কর খবর শুনতে হচ্ছে। গত ৮ জুলাই সিলেটে বারান্দার খুটির সাথে পিট মোড়া করে বেঁধে রেখে শেখ শামিউল আলম রাজন নামের একটি বালককে চুরির অভিযোগে নৃশংসভাবে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বালকটি বারবার একটু পানির জন্য আর্তনাদ করলেও তাকে পাষন্ডরা ঘাম খেতে বলেছে। তাদের মধ্যে সামান্যতম নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ থাকলে এ বর্বরতা চালাতে পারত না। এই লোমহর্ষক ঘটনা বিশ্ব দরবারে জাতিকে আরেক বার লজ্জিত করেছে। অথচ খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য সরকার এখন পর্যন্ত তেমন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমন নৃশংস ঘটনায় বরাবরই সরকারকে নিরব ভূমিকায় দেখেছে জনগণ। মূলত সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদেই দেশে অনৈতিকতার জোয়ার বইছে।

তিনি আরও বলেন, যারা ইসলামী আদর্শকে ধারণ করার সাহস রাখেনা তাদের দ্বারা নৈতিক আচরণ আশা করা বৃথা। কিন্তু আমরা মানবতার কল্যাণের একমাত্র হাতিয়ার ইসলামী আদর্শকে ধারণ ও প্রতিষ্ঠার শপথ গ্রহণ করেছি। ইসলামই পারে প্রকৃত নৈতিক মূল্যবোধ গঠন করতে। সুতরাং আমাদের দায়িত্বের পরিধি অনেক বেশি। কেউ এগিয়ে না আসলেও আমাদের সমাজে নৈতিক মূল্যবোধ গঠনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা সফল হবই, ইনশাআল্লাহ। কারণ আমরা কোন ব্যক্তি বা মতের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি না। বরং আমরা সেই ইসলামী আদর্শকে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি যেই আদর্শ ইতিহাসের পাতায় সর্বোত্তম নৈতিকতা সম্পন্ন স্বর্ণযুগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল।

 

সংশ্লিষ্ট