রবিবার, ০৫ জুলাই ২০১৫

ইসলাম নিয়ে আঃ গাফফার চৌধুরীর কটুক্তির প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তার শাস্তির দাবী জানিয়ে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

গত ৩ জুলাই নিউ ইয়র্কে এক আলোচনা সভায় মহান আল্লাহ তায়ালার ৯৯ নাম, রাসূল (সঃ), আরবী ভাষা ও মুসলিম নারীদের হিজাব পরা এবং হযরত আবু বকর (রা:) ও হযরত আবু হোরায়রা (রা:)-এর নাম সম্পর্কে বিতর্কিত কলাম লেখক আঃ গাফ্ফার চৌধুরী কুরুচিপূর্ণ মনগড়া বক্তব্যের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, ইসলাম বিদ্বেষী আওয়ামী সরকারের চিহ্নিত সেবাদাস আঃ গাফ্ফার চৌধুরী ৩ জুলাই নিউ ইয়র্কের এক আলোচনা সভায় মহান আল্লাহ তায়ালার ৯৯ নাম, রাসূল (সঃ), আরবী ভাষা ও মুসলিম নারীদের হিজাব পরা এবং হযরত আবু বকর (রা:) ও হযরত আবু হোরায়রা (রা:)-এর নাম সম্পর্কে কুরুচিপূর্ন, মনগড়াবক্তব্য দিয়েছে। এই কান্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যে তার ইসলাম সম্পর্কে তার চরম অজ্ঞতা, বিকৃত মস্তিস্ক ও ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ইসলাম নিয়ে তার এই নির্বোধ জঘন্য তামাশা মুসলমানদের কলিজায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। কোন মুসলমানের পক্ষে এ ধরনের অন্যায় ও অযৌক্তিক বক্তব্য প্রদান করা সম্ভব নয়। সে আদৌ মুসলমান কিনা তা নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, তার এই দৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং সরকারের মদদে ইসলাম বিদ্বেষী ধিকৃত অপশক্তির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। সরকার কর্তৃক ইসলাম প্রিয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রজনতার উপর জুলুম নির্যাতন এবং আ. লতিফ সিদ্দিকীসহ নাস্তিক্যবাদী শক্তিকে লালনের প্রতিফলন ঘটেছে এই বক্তব্যের মাধ্যমে। বিভিন্ন দলমতের মানুষ এই ন্যাক্কারজনক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালেও সরকার এখন পর্যন্ত চুপ রয়েছে। যা অবৈধ সরকারের ইসলাম বিদ্ধেষী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।

নেতৃবৃন্দ হুশিয়ার করে বলেন, আঃ গাফ্ফার চৌধুরীর মত ইসলাম বিরোধী কীট ও তাদের দোষরদের কিভাবে প্রতিরোধ করতে হয় তা বাংলার ইসলাম প্রিয় ছাত্রজনতার ভাল ভাবেই জানা আছে। গণপ্রতিরোধের মাধ্যমে বাংলার জমিন থেকে ইসলাম বিদ্বেষীদের লজ্জাজনক ভাবে বিদায় করার ইতিহাস বিরল নয়। ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করে ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে থাকা ও মুসলমান হিসেবে পরিচয় দেবার তার কোন অধিকার নেই। অবিলম্বে তার নাগরীকত্ব বাতিল করতে হবে। তাকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। ধর্ম অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন পাশ করতে হবে। ধর্মদ্রোহীদের সরকারী মদদ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় মুসলমানদের মনে জমে থাকা ক্ষোভের বিষ্ফোরণ ঘটবে। সারাদেশে দ্রোহের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে। আর তখন যে কোন পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ভার গ্রহণ করতে হবে।

 

সংশ্লিষ্ট