মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০১৫

প্রতিটি অঞ্চলে সংগঠনের ভিত্তিকে আরো মজবুত করতে হবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, বাংলার জমিন থেকে ইসলামী আন্দোলনের মূলোৎপাটন করতে সর্বগ্রাসী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তাই বাতিলের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে প্রতিটি অঞ্চলে সংগঠনের ভিত্তিকে আরও মজবুত করতে হবে।

তিনি আজ বরিশালের এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির বরিশাল অঞ্চলের সদস্য শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অঞ্চল পরিচালক ও কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মতিউর রহমান, বরিশাল মহানগরী সভাপতি রহমাত উল্যাহ সেলিম, ভোলা শহর সভাপতি মোহম্মদ মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।

শিবির সভাপতি বলেন, বাতিলের প্রধান কাজ হলো জমিন থেকে ইসলামী আন্দোলনকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করা। আর মুমিনের প্রধান কাজ হলো জমিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। সত্য মিথ্যার এই লড়াই অনন্তকালের। এই পথে চলতে গিয়ে বাধা প্রতিবন্ধকতা আসবে তা স্বাভাবিক। বাংলার জমিনও তার থেকে মুক্ত নয়। যদিও বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ তবুও এ জমিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠাকে নস্যাৎ করতে বাতিলের ষড়যন্ত্র কোন অংশেই কম নেই। বর্তমানে বাতিল আদর্শের অনুসারীরা ইসলামের অগ্রযাত্রায় নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কিত। যেহেতু তারা আদর্শ দিয়ে আদর্শকে মোকাবেলা করার ক্ষমতা রাখেনা তাই নানাভাবে জুলুম নির্যাতনকেই বেছে নিয়েছে। শীর্ষ নেতৃবৃন্দ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি নেতাকর্মী আদর্শহীনদের জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে চলেছে। কিন্তু আমরা তাদের বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেইনি এবং দিতে পারিনা।

তিনি আরও বলেন, ইসলাম আতঙ্কে কম্পমান অপশক্তি প্রতিটি জনপদে হত্যা নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ বিশেষ অঞ্চলকে টার্গেট করে তান্ডব চালিয়েছে। এর উদ্দেশ্যে হলো বাংলার জমিন থেকে ইসলামী আন্দোলনের মূলোৎপাটন করা। কিন্তু ইসলামপ্রিয় ছাত্রজনতার বুকের রক্ত শুকিয়ে যায়নি। এই ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে প্রতিটি অঞ্চলে সংগঠনের ভিত্তিকে মজবুত করার মাধ্যমে। এ জন্য সব প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে প্রতিটি নেতাকর্মীকে প্রতিজন মানুষের কাছে যেতে হবে। তাদের মাঝে কুরআনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। কুরআনের আলোকে জীবন গঠনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কুরআনের বাস্তবায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। আর এ কাজের জন্য রমজান মাস সর্বোত্তম সময়।

সংশ্লিষ্ট