শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৫

আদর্শিক আন্দোলনের কাছে অপকৌশলের রাজনীতির পরাজয় হবেই



বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, আদর্শিক আন্দোলনের কাছে অপশক্তির অপকৌশলের রাজনীতির বরাবরই পরাজিত হয় এটাই ঐতিহাসিক বাস্তবতা। বাংলাদেশেও বাতিল আদর্শের অনুসারীরা ইসলামী আন্দোলনের কাছে আদর্শিক ভাবে পরাজিত হয়ে অপকৌশলের রাজনীতি করে যাচ্ছে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আদর্শিক আন্দোলনের কাছে অপকৌশলের রাজনীতির পরাজয় হবেই ইনশাআল্লাহ।
তিনি আজ বেলা ২টায় রাজধানীর এক মিলনায়তেন ছাত্রশিবির ঢাকা দক্ষিণ ও ক্যাম্পাস অঞ্চলের শাখা দায়িত্বশীলদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাতের পরিচালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মু. সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মনির আহমেদ, কার্যকরী পরিষদ সদস্য মাইনউদ্দিন মৃধা, মনিরুজ্জামান শামীম, হাসানুজ্জামান, হেলাল উদ্দিন, খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।
শিবির সভাপতি বলেন, আওয়ামী রাজনীতি বাতিল আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত। তাই ইসলামী আন্দোলনকে তারা কোন দিনই আদর্শ দিয়ে মোকাবেলা করার সাহস করেনি। জন্মলগ্ন থেকেই তারা ফ্যাসিবাদী কায়দায় পথ চলায় বিশ্বাসী। যা জনসমর্থনহীন আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাদের প্রতিটি নেতাকর্মীর বাকশীলী বক্তব্য, অপকর্ম ও নির্দেশের মাধ্যমে দেশবাসী দেখছে। গতকালও পুলিশের বেআইনি হত্যাযজ্ঞকে উস্কে দিতে প্রধানমন্ত্রী ‘পুলিশকে অস্ত্র পকেটে রাখার জন্য দেয়া হয়নি’ এমন দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়েছেন। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে বিভিন্ন কায়দায় হত্যা, হামলা, মামলা, অপপ্রচার ও অপকৌশলকেই রাজনীতির আদর্শ হিসেবে বেছে নিয়েছে অবৈধ সরকার। কিন্তু তাদের এই ষড়যন্ত্র দেশ ও ইসলাম প্রিয় ছাত্রজনতা বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়নি আর দিবেও না। শহীদ কামারুজ্জামান জীবন দিয়েছেন তবুও আদর্শহীনদের কাছে মাথা নত করেন নি। একই ভাবে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা দেশ ও জাতির প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে বাতিলের প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। দেশ ও ইসলামী বিরোধী অপশক্তির অপকৌশল ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা বুদ্ধিমত্তা, সাহস ও অটল মানষিকতা নিয়ে মোকাবেলা করে যাবে। অপকৌশলকারীরা ইতিমধ্যেই গণবিচ্ছিন্নতা, ধিক্কার, ঘৃণা ও দেশ-বিদেশে প্রত্যাখ্যান হওয়ার মাধ্যমে লজ্জাজনক ভাবে অপদস্ত ও নৈতিক ভাবে পরাজিত হয়েছে। বাংলার জমিনে শহীদের রক্ত কথা বলতে শুরু করেছে। অবৈধ সরকার যতই অশুভ পরিকল্পনা করুক না কেন, আগামীর দিন সম্ভাবনার। সময়ের ব্যবধানে আদর্শিক আন্দোলনের কাছে চূড়ান্ত ভাবে পরাজয় বরণ করবে অপশক্তি।
তিনি দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে বলেন, সংগঠন পরিচালনায় আমাদের প্রত্যেককে নিজের জায়গা থেকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে আন্দোলনের এই জিম্মাদারী যুগে যুগে নবী রাসূলগন পালন করেছেন, আমরা সেই ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসাবেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই কাজ করছি । সুতরাং সকল ভয় ভীতি জুলুম নির্যাতনকে উপেক্ষা করে ইসলামের পূর্ণ বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পথচলা সামনে এগিয়ে নিতেই হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মু. সেলিম উদ্দিন বলেন, নেতাকর্মীদের হত্যা করে কখনো কোন আদর্শবাদী আন্দোলনকে ধ্বংস করা যায় না। কোন ব্যক্তিকে হত্যা করা যায়। কিন্তু আদর্শকে হত্যা করা যায় না। ইসলামী আন্দোলন শহীদের রক্তের বিনিময় আরো শক্তিশালী হয়। শহীদদের রক্তের বিনিময় আল্লাহ একদিন বাংলাদেশের সবুজ জমিনে কালেমার পতাকা উড্ডীন করবেনই। সেই জন্য ছাত্রশিবিরের প্রতিটি দায়িত্বশীলকে এক একজন সেনাপতির ভূমিকা পালন করতে হবে। যে কোন পরিস্থিতি মেধা, যোগ্যতা, সাহস ও বুদ্ধিমত্তার সাথে মোকাবেলা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা শহীদের রক্তের কাছে দায়বদ্ধ। শহীদদের স্বপ্ন পূরুণ না করা পর্যন্ত আমাদের কোন বিশ্রাম নেই।